মেয়েটি কাঁদছে। অঝোরে কাঁদছে। কিন্তু ওর কান্নার মূল্য নেই কারো কাছে। কেউ ওর কথা শুনছে না। শুনতেও চাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে সে কী করবে! কোথায় যাবে ! সে কি পালাবে? সে মনে মনে ভাবে, পালিয়ে যাওয়াটাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিন্তু এতো লোকের মধ্যে সে পালাবে কীভাবে? কে তাকে সাহায্য করবে? এ দুনিয়ার অভাগিনীর পাশে কি কেউ দাঁড়ায় না? কারো দিলে কি একটুও দয়া হয় না? তাহলে এই দয়ামায়াহীন দুনিয়াতে কেন পড়ে আছি আমি! বলা নেই, কওয়া নেই; হঠাৎ একদিন পাত্রপক্ষ রেবেকাকে দেখতে এলো। রেবেকাকে বউ সেজে পাত্রপক্ষের সামনে যেতে হবে। তারা তাকে কোরবানির গরুর মতে দেখবে। রেবেকা মনে মনে ভাবে, না না! এ হতে পারে না। আমি বউ সেজে পাত্রপক্ষের সামনে যেতে পারবো না। |
|