রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে আমি কখনও যাইনি। যাওয়ার এবং দেখার ইচ্ছে হয়েছে অনেকবার। কিন্তু যেতে পারিনি। ওখানে হাঁটার কথা ভাবলে আপনা থেকেই পা দুটো আড়ষ্ট হয়ে আসে। হিম হয়ে আসতে থাকে শরীর। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ। মনে হয়, কী করে হাঁটবো সেই পথ ধরে, যার ওপর দিয়ে সারি বেধে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা! শুনেছি, মিরপুরের ফিজিক্যাল ইনস্টিটিউটে তাঁদের চোখ বেঁধে, হাত বেঁেধ অন্ধকার কুঠুরিতে ফেলে রাখা হয়েছিলো। তারপর কাকডাকা ভোরে লাইন করে দাঁড় করিয়ে গুলি আর বেয়নেট চার্জ করে ক্ষতবিক্ষত করে ইটের ভাটায় ফেলে দেয়া হয়েছিলো। ইটখোলায় ছিলো লাশের স্তূপ। অনেক আগে ঘাতকরা যাদের মেরেছিলো, তাদের লাশ চেনা যায়নি। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের ভেতরে যাদের মারা হয়েছিলো, তাদের লাশ শনাক্ত করা গেছে...... |
|