জীবনের কত গল্প-কত রঙের গল্প । কারও মতে, জীবন-রথে যখন শনি ভর করে তখন গল্পের রঙ হয় পাঁশুটে; বৃহস্পতি ভর করলে ঝলমলে উজ্জ্বল। কী জানি ! জবিনকে ঘিরে কত প্রশ্ন। মানুষের রহস্যঘেরা মনেরও কত রং। সব রং কি চোখে পড়ে ? সব প্রশ্নের কি সহজ জবাব মেলে ? হয়তো না।মেজো‘পা বর পেল কিন্ত ঘর পেল না । অথচ টইটম্বুর ঘর আর বর পেয়েও চৌকস রিক্তা আহমেদ জ্যোৎস্ন- শোভিত রাতে একাকী নির্জনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ! বিড়ম্বিত রাকাকে দেখে প্রশ্ন জাগে, শিল্পীর প্রেরণার উৎস অনিন্দ্য এক সৌন্দর্যের প্রতীক রাকা কেন গৃহবন্দি ! দিনের শেষে রাত আসে । নিস্তব্ধতা ভেঙে রাতের প্রহরী যখন চিৎকার দিয়ে বলে ‘সাবধান’-তখন কি অন্ধকারের আততায়ীরা সাবধান হয় ? কত প্রশ্ন।
মালতী নামের ছিন্নমূল কিশোরী তার আশা পূরণের দোরগোড়ায় পৌছেও নতুন এক অজানা শঙ্কায় লালিত আশায় পাথর চাপা দিয়ে আবার সেই জীর্ণ ডেরার পা বাড়ায়।জীবনের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে নীতিনিষ্ঠ অধ্যাপক রায়হান করীর উদ্ভ্রান্ত মনে ভাবেন, তিনি কি তাহলে স্বপরিচয় ভুলে ট্যাপা মাইনকার চাচা অথবা জনৈক রইস্যার শ্বশুর হিসেবে পরিচিত হবেন ! কেউ যদি মানুষ খুন করে, তার বিচার হয় । কিন্তু এই সমাজে কত ঘাতক আছে যারা অদৃশ্য কৌশলে খুন করে দিব্যি সসম্মানে ঘুরে বেড়ায় !এ সবই তো জবিনের গল্প-জটিল কিছু জিজ্ঞাসা। |