গ্রিক তরুণ পান্দিওনকে দিয়ে ইভান ইয়েফ্রেমভ উপন্যাসটি শুরু করেছিলেন । পান্দিওন শিখতে চেয়েছিল সৌন্দর্যের রুপায়ণ ! শিল্পই জীবনের সৌন্দর্যকে ব্রোঞ্জ বা পাথরে অমর করে রাখবে । বড় মাপের ভাস্কর হয়ে উঠবে। গ্রিক তরুণী তেসসার ভালোবাসার বন্ধন থেকে বের হয়ে পড়েছিল । ওইকুমেনার জগৎ পেরিয়ে (প্রাচীন গ্রিক নাম) বহুদূরের পথে। কথা দিয়েছিল সমুদ্রের সন্তানদের দেশ ক্রিট ছাড়িয়ে কোথাও যাবে না । ফিরে এসে তেসসা আবয়বের পাথরে অসমাপ্ত ভাস্কর্যে জীননের রূপ দেবে । ভগ্য তাকে প্রাচীন মিশর বা আইগপেতিসে নিয়ে গেল । বিপদসংকুল আর ক্রীতদাসত্ব বরণ এবং মুক্তির সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে লাভ করল ঐক্য ও বন্ধুত্ব । আর অর্জন করল শিল্পে সৌন্দর্যের রূপায়ন । সৃষ্টি করল বিশ্বাস আর মানবিকতার প্রতীক সবুজ পাথরের পান্নায় খোদিত অপূর্ব ক্যামিও।
বর্তমানে দাঁড়িয়ে পুরো সভ্যতাকে অনুপুঙ্খরূপে পুনপ্রতিষ্ঠা দেওয়া; সে সময়ের সমাজ, রাজনীতি, জাতি-গোষ্ঠী, উদ্ভিদ প্রাণীদের বিভিন্ন প্রকার, বিপদ, ভৌগোলিক আবহাওয়া, পরিবেশকে জীবন্ত করে তুলতে প্রত্নজীবশ্মবিদ ইভান ইয়েফ্রেমভকে সাহায্য করেছে: জীববিদ্যা নৃতত্ত্ব, ট্যাফনমিসহ বিজ্ঞানের অনেক শাখার অগ্রগতি । ফলে ফেনার রাজ্য উপন্যাসটিকে সায়েন্স ফিকশন হিসেবে গণ্য করলেও অত্যুক্তি হবে না । এটা মানব সমাজের বিবর্তনের ধারা, তার নানা গুনাবলি অর্জনের সামাজিক ইতিহাসও বটে । মানবপ্রকৃতির বিবর্তনের আনুপাতিক বিকাশ নির্ণয়ের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও কৌতূহলী করে তুলবে পাঠককে । |
|