আর্সেনিক এমন একটি মৌল যা প্রায় সক ধরনের খনিজ পদার্থে বিদ্যমান । এ পর্যন্ত ২০০-২৫০টি খনিজ পদার্থের মধ্যে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এগুলোর কোনোটিই মানুষের গ্রহণযোগ্যতার মাত্রায় নেই; সবই পানিতে অদ্রবণীয় । আর্সেনিক অক্সাইড শুধু পানিতে দ্রবণীয় । ভূগর্ভস্থ পানি যখন আর্সেনিক দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়, তখনই জনসাধারণের মধ্যে এর বিষক্রিয়া সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একজন রসায়নবিদ হিসেবে এর বিষক্রিয়া সম্পর্কে লেখার প্রয়োজন বোধ করি । এটি এমন একটি বিষ যা আস্তে আস্তে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। বহু আগে থেকেই এর যৌগ নানা কাজে ব্যবহৃত হলেও মানুষ এর বিষক্রিয়া সম্পর্কে তখন তেমন জানত না ।এমনকি ওষুধের কাজেও তা ব্যবহৃত হতো। ১% পটাশিয়াম আর্সেনেট ১৫০ বছরের বেশি সময় বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হতো । এটি ফাউলার দ্রবণ নামে পরিচিত ছিল । আর্সেনিক আয়োডাইড, আর্সেনিক ট্রাই ক্লোরাইড বাতের যন্ত্রণায়, অ্যাজমায়, টিউবারকুলোসিস, ডায়াবেটিক নিরাময়ে ব্যবহৃত হতো। এ মৌল এবং এর যৌগ সম্পর্কে জানতে পারবেন এই বইটিতে । |
|