‘মানুষের’ মানুষ হয়ে ওঠার দু’রকম ইতিহাস থাকে। একটি হলো মৌখিক, যা সামাজিক ধারণার মতো মানুষ থেকে মানুষের আলোচনার স্রোতে এগিয়ে যেতে থাকে। অন্যটি হলো লিখিত। যা সাধারণত ইতিহাসবিদরা লিপিবদ্ধ করেন। ক্ষেত্র বিশেষে তার উপাদান জুগিয়ে চলেন সাংবাদিক, কলামিস্ট। বিশেষ করে বাঙালির ‘আধুনিক বাঙালি’ হয়ে ওঠার কিছু বিশেষ দিকের ধারাক্রম স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার প্রণীত একুশ শতকে বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ গ্রন্থটিতে। সময়ের প্রয়োজনে লেখক বিভিন্ন প্রসঙ্গে কলম ধরেছেন। এর সবই প্রায়ই ‘আধুনিক বাঙালি’র জীবনের ব্যবহারিক উপদান বলে চিহ্নিত। বইটির প্রসঙ্গের বৈচিত্র্যতা এর আবেদন বাড়ায়। এই গ্রন্থটি জোর দাবি রাখে বাংলাদেশের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হয়ে ওঠার রূপরেখাটি এখানে সুস্পষ্ট। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ডিজিটাল হয়ে ওঠা, সেটির পদ্ধতিগত ব্যাখ্যা, উপকরণসমূহ কিংবা সেটির বাঁধা সৃষ্টি করার দুর্ভোগ, যা একটি জাতিকে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে তাও এই গ্রন্থে উঠে এসেছে। পাঠকের কখনো মনে হবে ‘বিশুদ্ধ সায়েন্স ফিকশন’ পড়ছি। বিস্ময়ে চমকে উঠতে পারেন, যে টেকনোলজির কথা লেখক দেড় দশক আগে উল্লেখ করেছেন আমাদের হাতের মুঠোয়, সেটি আমাদেরই বর্তমান হয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। |
|