দুটো কথা মানুষের অনুভবের বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু কিছু গোপন অনুভূতির উদ্ভব হয়ে থাকে- যা একান্তই নিজের অভ্যন্তরে সংঘটিত হয়। সংবেদনশীল এই বিষয়গুলো অনেক সময়ই ঘনিষ্ঠজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথেও শেয়ার করা যায় না। গোপনীয় এই অনুভূতিগুলো হতে পারে আইনের চোখে নিষিদ্ধ কিংবা সমাজের কাছে নিন্দনীয়। তবুও মনকে কখনো আইন-কানুন বা রীতিনীতির গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা যায় না। মন তার নিজস্ব খেয়াল-খুশি মতো চলতে ভালবাসে। বিবেক যদিও মনকে সঠিক পথে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তবুও অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়ে উঠে না। মন সর্বাবস্থায় নিজের ভালো লাগার বস্তুটাকে পাওয়ার ঐকান্তিক চেষ্টা চালায়- হোক তা বৈধ বা অবৈধ, দুষ্কর কিংবা দুষ্প্রাপ্য। মনের এ কাক্সিক্ষত চাওয়া বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তীতে প্রায়শ তা অবচেতনভাবে কিংবা স্পপ্নের মাধ্যমে আবিভর্তূ হয়ে থাকে। যদিও অনেক মনীষীরাই মন, বিবেক বা আত্মাকে একই সত্তা কিংবা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হিসাবে আক্ষায়িত করেছেন। উক্ত বইটিতে মোট তেত্রিশটি কবিতা রয়েছে, যার বেশিরভাগই মনের এই দুরন্তপনা ও অবাধ্যতাকে উপাদেয় করে লেখা হয়েছে। যথা সম্ভব আধুনিক কবিতার শৈলী ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠকের কাছে সুখপাঠ্য ও বোধগম্য করার প্রয়াসে সহজ ও সাবলীল প্রকাশ ভংগিমাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথম কাব্য গ্রন্থ “উপলব্ধি” ইতিমধ্যে পাঠক সমাজে নন্দিত হয়েছে। প্রিয় বন্ধু ও কবি নূরুল্লাহ মাসুম “নিষিদ্ধ অনুভবে” নামটি উপলব্ধির জন্য প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু বিষয়বস্তুর সাথে সম্পূর্ণ সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তখন তা করা হয়নি। অথচ ‘নিষিদ্ধ অনুভবে’ নামটা পছন্দ হওয়ায় তখন তাঁকে কথা দিয়েছিলাম আমার পরবর্তী কাব্যগ্রন্থের নাম “নিষিদ্ধ অনুভবে” রাখার চেষ্টা করবো। প্রতিশ্রæতিটি রাখতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত বোধ করছি। কবিতা একাধারে সমাজের অন্যায়-অবিচার ও অন্যদিকে প্রেমপ্রীতি ভালবাসা প্রকাশের একটি সহজ ও অন্যতম জোরালো মাধ্যম। উপলব্ধি মূলতঃ সমাজের অন্যায়-অবিচার ও অসংগতিকে উপজীব্য করে লেখা হলেও নিষিদ্ধ অনুভবে পুরোপুরিই প্রেমের নিগুঢ় উপাখ্যান, যা নতুন প্রজন্মের কাছে সমাদৃত হবে বলে আমি আশাবাদী। |
|