“মূূল নদীর নাম বলেশ্বর। কেউ কেউ বলে বলেশ্বরী। মধুমতি, কালিগঙ্গা, কচা, দামুদা-কত ছোট-বড় নদ-নদীর জলে যে বলেশ্বর পুষ্ট-তার হিসেব বোধ হয় সে নিজেও জানে না। আর আছে বিল আর খাল। যে ঘাটের কিনারায় এখন সুপর্ণ আর শ্যামশ্রী খেয়ার বার্জের জন্য অপেক্ষা করছে, তার নাম বেকুটিয়া। দুজনেরই বয়স এখন ঢলন্ত। চলাফেরার সহজতা নেই। খরচ সাপেক্ষ হলেও সীমান্ত থেকে একটি গাড়ির বন্দোবস্ত করে তবে এসেছে তারা। এই একটায় খেয়া এখন পেরোতে হয়। আগেরকার দিনে পেরোতে হতো অনেক। দেশটা নদী-নালার। এখন এক মাত্র এই নদীটা ছাড়া বাকিগুলোর উপর পেল্লায় পেল্লায় ব্রিজ বসেছে। তাতে সময় বাচে ঢের। বেকুটিয়া বেশ বড় ফেড়ি। বলেশ্বর এখন থেকে আরো অনেকটা দক্ষিণে গিয়ে। পূর্বে আরো ভেঙ্গে বিশমালিতে মিশিছে, আরও ঢের জলবতীদের সঙ্গে মেলামেশা করে সোজা দক্ষিণে। সেখানে এদিকের তাবৎ জলকন্যা, জলপুত্ররা হরিণঘাটার মোহনায় আত্মবিসর্জন দিয়ে সাগরে। |
|