ভালোবেসেছিলাম বিকেলবেলার আকাশ আজ অপূর্ব নীল, অপূর্ব স্বচ্ছ। সূর্য নেমে গেছে বহু পশ্চিমে ফলে রোদ উঠে গেছে আকাশের দিকে। নীল স্বচ্ছ আকাশ ঝকঝক করছে সেই রোদে। ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকাল হিয়া। তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেল। এত সুন্দর আকাশ কী আজকের আগে কষনও দেখেছে সে! আকাশ কী কষনও পুরনো হয় না! আকাশ কি প্রতিদিনই নতুন! যে কোনও খোলা জায়গায় দাঁড়ালে প্রথমেই আকাশের দিকে তাকায় হিয়া। খানিক আকাশ দেখে তারপর অন্য কিছু। আজ বিকেলেও তাই হলো। অনেকক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল হিয়া। সেই ফাঁকে টের পেল মনের ভেতরে কার অনিবর্চনীয় এক আনন্দ খেলা করছে । সে একজন মানুষের জ ন্য অপেক্ষা করছে। অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে তার আসার সময়। গত তিন মাসে এতটা দেরি আজকের আগে কখনও সে করেনি। তবে আজ দেরি করে ভালোই করছে। নয়তো বিজুর কথা শোনা হতো না, ছাদে ওঠা হতো না। যদিও ছাদটা জীর্ণ, যখন তখন ধ্বসে যেতে পারে যে কোনও দিককার পাঁচিল, বাড়ির ছেলে মেয়েদের ছাদে ওঠা সম্পূর্ন নিষেধ, এই নিষেধের বেড়াজাল ডিঙানো হতো না। আর যদি তাই না হতো তাহলে এত বড় খোলা সুন্দর আকাশ কেমন করে দেখত হিয়া! আকাশের দিকে তাকিয়ে হিয়া মনে মনে বলল, তুমি আমার আকাশ। তুমি কখনও পুরানো হবে না । তুমি প্রতিদিন নতুন থাকবে। প্রথমে তোমাকে দেখে তার পর অন্য কিছু দেখব আমি। কথাটা কার উদ্দেশ্যে বলল, হিয়া ছাড়া কেউ তা জানে না। |
|